সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের শাসন
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের একটি অভ্যন্তরীণ এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সমৃদ্ধ সিরিয়া এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুরু হয়েছিল ২০১১ সাল থেকে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার বাবা হাফিজ আল আসাদ এর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সংবিধানানুযায়ী রাষ্ট্রপতির বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৪০ কিন্তু বাশারের বয়স ছিল ৩৪ বছর। একারণে তিনি প্রথমে সংবিধান পরিবর্তন করেন। অবশ্য একনায়ক বা স্বৈরশাসক এটা তাদের পরিবার থেকেই এসেছে। যার প্রমান তার বাবা যিনি ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর সিরিয়ার রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন।
সিরিয়ায় কেন গৃহ।যু।দ্ধ শুরু হয়েছিল?
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল আরব বসন্তের সময় বিক্ষোভ সমাবেশ। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ, রাজবংশের ক্ষমতার অবসান করে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের ইচ্ছাপোষণ, বাথবাদী সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষ ইত্যাদি। মূলত এসব কারণেই আন্দোলন, সমাবেশ আরো বেড়েই চলছিল। এইকারণে আসাদ সরকার তীব্র দমন পীড়ন শুরু করে বিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করে । এতে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে।
অবশেষে নিজ দেশের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ এবং ছয়জন আর্মি অফিসার (যারা স্বেচ্ছায় দলত্যাগ করে ) FSA(ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ) গঠন করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। যাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ার কয়েক দশকের আসাদ পরিবারের ক্ষমতার অবসান। খন্ড খন্ড বিক্ষোভ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পুরোদমে গৃহ।যু।দ্ধ শুরু হয়। যেখানে মদদপুষ্ট রয়েছে বিশ্বের উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশ গুলো। ফলস্বরূপ সিরিয়ার নিরীহ মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। হারাচ্ছে সন্তান, আপনজন। ২১ শতকের এই আধুনিক বিশ্বেও সিরিয়ার মানুষের জন্য জীবন যেন বিভীষিকাময় অত্যাচারে ভরপুর। এখনো তারা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার আশায় বসে আছে!
তবে এইচটিএস (হায়েত তাহরির আল-শাম) অন্যতম বিদ্রোহীরা ২০২৪ সালে সিরিয়ার দুটি বৃহত্তম শহর আলেপ্পো এবং হামা দখলে নিয়েছে।