২০২৪ সালে ৮ অক্টোবর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রযাত্রার জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন হপফিল্ড এবং ব্রিটিশ-কানাডিয়ান জিওফ্রে হিন্টন
মেশিন লার্নিংয়ের আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের জন্য যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির পথকে সহজ করেছে তারা। একই সাথে প্রযুক্তির এই অপ্রতিরোদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রণহীন গতি বিশ্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
হিন্টোনকে সামগ্রিক ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। বিশেষ করে তিনি যখন গুগোলের চাকরি ছেড়ে দেন তখন এই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। তার জন্ম ১৯৪৭ শালের ৬ই ডিসেম্বর ,যুক্তরাজ্যে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান , শিল্পের ইতিহাস এবং দর্শনের মতো বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে বারবার তার ডিগ্রি পরিবর্তন করার পর , তিনি অবশেষে ১৯৭০ সালে পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । তিনি পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স না করে পদার্থবিজ্ঞানী হয়েছেন। কিন্তু তিনি ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃত্ৰিম বুদ্ধিমত্তায়(আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সে) গবেষণার জন্য পিএইচডি লাভ করেন ক্রিস্টোফার লংগুয়েট-হিগিন্সের তত্ত্বাবধানে।
এবং জন হপফিল্ড যার বাবামা দুজনেই ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী, অর্থাৎ তার পথটা আগে থেকেই প্রশস্ত ছিল। যার জন্ম ১৯৩৩ শালের ১৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে। ১৯৫৮ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টর অফ ফিলোসফি সহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন স্ফটিকের জটিল অস্তরক ধ্রুবক পর্যন্ত। তার ডক্টরেট উপদেষ্টা ছিলেন আলবার্ট ওভারহাউজার ।
তারা কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিংয়ের সংযোগ স্থাপন করেন। এরপর নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হন যে তাদের সৃস্টি তাদের থেকে দ্রুত এবং নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলসে। তারা ভেবেছিলো তাদের এই সৃষ্টির ফলাফল আরো ২৫ বছর পরে পাওয়া যাবে। কিন্তু এটি খুবই দ্রুত এবং নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে চলে যাচ্ছে কারণ এর মধ্যে মস্তিষ্কের গঠন এর মতো সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আর তাই আরিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সঠিক ব্যবহারের জন্য তারা একটি সংগঠন গড়ে তোলেন যাদের কাজ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সঠিক পথে রাখা এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।
পদার্থবিদ্যার জন্য নোবেল কমিটির চেয়ার এলেন মুন বলেন: “যদিও মেশিন লার্নিংয়ের প্রচুর সুবিধা রয়েছে, এর দ্রুত বিকাশ আমাদের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
“সম্মিলিতভাবে, মানুষ মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সুবিধার জন্য এই নতুন প্রযুক্তিটিকে নিরাপদ এবং নৈতিক উপায়ে ব্যবহার করার দায়িত্ব বহন করে।”
সূত্র : রয়টার্স এবং উইকি